রংপুরের গংগাচড়ায় বৃদ্ধ সাজু মিয়া হত্যার পর তার মরদেহ বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ফেলে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় র‌্যাব-১৩'র অভিযানে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত সাজু মিয়ার সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ তৈয়ব আলী এবং অন্যান্য সহযোগীদের প্রায় ছয় মাস আগে আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওই ঘটনার জের ধরে গত ১৭ মে ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোবাইল ফোনে ডেকে সাজু মিয়াকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় এবং মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরদেহটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে রাখা হয়।

পরদিন ১৮ মে রাত ৩টার দিকে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে গংগাচড়া থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং: ০৮/২৫৭, তারিখ: ১৮/০৫/২০২৫; ধারা– ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করে।

র‌্যাব জানায়, ঘটনার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট আসামিরা আত্মগোপনে ছিলো। গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৩, সদর কোম্পানির একটি চৌকস দল ১৮ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গংগাচড়া থানার কুটিরঘাট ঘাঘট নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মোঃ তৈয়ব আলী (৩৬) কে আবুল কালাম আজাদের দোকানের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। তারা আরও জানায়, এ ধরনের সহিংস ঘটনার প্রতিরোধে র‌্যাবের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।