দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বাউল গান শুনে ফেরার পর নিজ বাড়ির পাশে সালমান হোসেন স্বাধীনকে (২০) পড়ে থাকতে দেখতে পায় তারই ছোট ভাই পারভেজ।পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে পুলিশ যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহত সালমান হোসেন স্বাধীন পালশা উপজেলার ধাওয়া মাঝিয়ান রুপসী এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের পিতা আশরাফুল ইসলাম জানান, গেল বুধবার রাতে বাড়ির পাশে বাউল গানের আসর হচ্ছিল। সেখানে আমার দুই ছেলে স্বাধীন এবং ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে পারভেজ ওই আসরে বাউল গান শুনতে যায়। রাত অনুমান ১ টার দিকে বাউল গান শুনা শেষে ছোট ছেলে বাড়ির দরজা খুলে দেওয়ার জন্য বলে, তখন আমি পেছনের দরজা খোলা থাকায় ওই দরজা দিয়ে আসতে বলি। সেসময় আমার ছোট ছেলে পেছনের দরজা দিয়ে আসার সময় কেউ একজন পড়ে আছে দেখতে পেয়ে চিৎকার করে, তখন আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার বড় ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই। এ সময় আমার ডাক চিৎকারে আসেপাশের লোকজনসহ অনুষ্ঠান দেখে ফেরা লোকজনের ভিড় জমে যায়।
ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, রাত অনুমান ৩ টার দিকে আমার এলাকার গ্রাম পুলিশ আমাকে মুঠোফোনে জানায় রুপসী পাড়ায় আশরাফের ছেলের মার্ডার হয়েছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে আসি। আসার পর এখানে অনেক লোক অনেক কথা বলছিল। তাছাড়া ওই গানের আসরে বাবাসহ দুই ছেলেও ছিল। সেখানে থাকা লোকজন নাকি সেসময় বলাবলি করেছিল, বাবার সামনে ছেলে কেমন করে নাচানাচি করবে! বাবাকে আসর থেকে চলে যাওয়ায় ভালো হবে। তখন বাবা গানের আসর থেকে চলে আসেন। আর তার আধাঘন্টা পরে ছোট ছেলে গানের আসর থেকে এসে দেখে তারই বড় ভাই বাড়ির বাহিরে এক কোণে পড়ে আছে।
এ সময় ইউপি সদস্য আরও জানান, লোকমুখে জানতে পারলাম, নিহত স্বাধীন নাকি মাদকাসক্ত ছিল। গেল রাতে নাকি প্রচুর পরিমাণে মদ,গাঁজা খেয়ে গানের আসরের সাউন্ড বক্সের সামনে নাচানাচিও করেছে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, নিহত যুবকের বাড়ির পেছনের দরজার কোণে তার লাশ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর ঘটনায় একটু সন্দেহ আছে। জিডি মূলে আপাতত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

