রংপুরের কণ্ঠ

ডিসিসিআই কর্মশালায় কোম্পানি আইন সংস্কারের তাগিদ

ডিসিসিআই কর্মশালায় কোম্পানি আইন সংস্কারের তাগিদ

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কোম্পানি আইন মেনে চলার পাশাপাশি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন যুগোপযোগী করার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।

শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত 'পরিচালনা পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভার গুরুত্ব এবং লিমিটেড কোম্পানির কমপ্লায়েন্স' শীর্ষক কর্মশালায় এমন তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্টার এ. কে. এম. নুরুন্নবী কবির।

অনুষ্ঠানের সূচনায় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, শিল্প ও অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে লিমিটেড কোম্পানির সুশাসন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। কিন্তু অনেক উদ্যোক্তা কোম্পানি আইন ও কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বিভ্রান্ত হন, যা ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করে।

তিনি জানান, কর্মশালায় পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা, সঠিকভাবে আয়োজন, কোম্পানি আইনের আওতায় কমপ্লায়েন্স বজায় রাখা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক রক্ষার বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরজেএসসি’র রেজিস্টার এ. কে. এম. নুরুন্নবী কবির জানান, বর্তমানে প্রায় পৌনে ৩ লাখ প্রতিষ্ঠান আরজেএসসিতে নিবন্ধিত এবং অধিকাংশ কার্যক্রমই অনলাইনে করা যাচ্ছে। শুধু শেয়ার ট্রান্সফার প্রক্রিয়া এখনও অনলাইন হয়নি, তবে সেটিও ডিজিটাল কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি বার্ষিক সাধারণ সভা ও অডিট রিপোর্ট সময়মতো না করায় কমপ্লায়েন্স ভাঙছে, ফলে তাদের নানা সেবা পেতে সমস্যা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্টিসান চাটার্ড অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের পার্টনার মো. সেলিম রেজা এবং মোহাম্মদ সানাউল্লাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সিইও মো. সানাউল্লাহ।

তারা বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কোম্পানি আইন মেনে চলা এবং কমপ্লায়েন্স বজায় রাখা জরুরি। পাশাপাশি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন যুগোপযোগী করারও সময় এসেছে।

কর্মশালায় ডিসিসিআইর সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।