রংপুরের ভাষার টান, আর সহজ-সরল কথায় হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া সেই মানুষটি কে রংপুরে সকলেই এক নামেই জানেন তার নাম তিনি হলেন “তালেব ভাইজান”। আজ তার জন্মদিন।
সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় রংপুর অঞ্চলের স্বকীয়তা ও আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেই তিনি হয়ে উঠেছেন তরুণদের প্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক—সব জায়গায়ই তার ভিডিও মানেই একটু হাসি, একটু ভাবনা, আর নিজের এলাকার গর্বের ছোঁয়া।
তালেব ভাইজানের বিশেষত্ব হলো তার রংপুরের টান সেই মিষ্টি ভাষা, যেখানে “তুমি” হয় “তুই”, “যাবো” হয় “যামো”, আর প্রতিটি বাক্যে থাকে প্রাণখোলা হাসির ছোঁয়া। তার ভিডিওগুলোতে গ্রামের মানুষ, আড্ডা, বাজার, চায়ের দোকান, এমনকি প্রতিবেশীর খুনসুটি সবকিছু এত বাস্তবভাবে ফুটে ওঠে যে দর্শক মনে করে, “এই তো আমাদের গল্প।”
তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এখন রংপুরের আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তালেব ভাইজানকে দেখে। তিনি শুধু একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নন, বরং রংপুরের সংস্কৃতি ও কথ্য ভাষাকে সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এক প্রাণবন্ত দূত।
জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তরা আজ সারাদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কেউ লিখেছেন, “রংপুরের গর্ব আমাদের তালেব ভাইজান”, কেউবা বলেছেন, “আপনার মতো মানুষই আমাদের এলাকার হাসিটা বাঁচিয়ে রাখছেন।”
তালেব ভাইজান নিজেও তার জন্মদিনে এক সরল বার্তায় বলেছেন,“আমার ভিডিও যদি কারো মুখে একটু হাসি ফোটায়, তাতেই আমার জন্মদিন সার্থক।”
রংপুরের এই কৃতী তরুণের কাছে আমরা সবাই কামনা করি তার মুখে হাসি থাকুক, আর তার কনটেন্টে থাকুক আমাদের মাটির গন্ধ।

