আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই সংগঠনের আওতায় চলাচল করা সব বাসের টিকিট ওই দিন থেকে আগাম বিক্রি করা হবে।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সমপাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ সংগঠনটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব বাস মালিককে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কালোবাজারি ঠেকাতে পুলিশ ও বাস মালিকদের পর্যবেক্ষণ দল মাঠে কাজ করবে।
শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘আমাদের সব বাস কম্পানি আগামী ১৩ জুন থেকে একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু করবে। ওই দিন সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট বাসের কাউন্টার থেকে টিকিট পাবেন যাত্রীরা। একই সঙ্গে অনলাইনেও বাসের টিকিট পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ‘এবার যেহেতু কোরবানির ঈদ। রাস্তায় উভয় পাশেই গাড়ির চাপ থাকতে পারে। ঘরমুখো গাড়ি যেমন ঢাকা থেকে বের হবে, একইভাবে পশুবাহী ট্রাকও কিন্তু ঢাকায় প্রবেশ করবে। ফলে কোরবানির ঈদে সড়কের চাপ বাড়তে পারে। তবে সব হিসাব-নিকাশ করেই আমরা আমাদের গাড়ির অগ্রিম টিকিট বিক্রি করব। যাতে সময়মতো গাড়িগুলো ছেড়ে যেতে পারে।’
টিকিট কালোবাজারি রোধের বিষয়ে তিনি বলেন, যাত্রীরা যাতে বাসের অগ্রিম টিকিট সুশৃঙ্খলভাবে কাউন্টার থেকে কিনতে পারেন, সে জন্য বাস মালিকদের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম কাজ করবে। তবে বাসের কোনো টিকিট কালোবাজারি হবে না। কারণ বাস মালিকদের মনিটরিং টিমের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করবে। এ ছাড়া প্রশাসনের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমেও টিকিট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি রোধ করা হবে।
এসএস